উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মান কেমন ও কি ধরনের চাকরি করা যাবে?
পিয়নমামা ডটকম সাইটের সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা। আশা করি, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সবাই এক প্রকার কুশলেই আছেন। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার টপিকের উপর আমি বিগত সময়ে প্রায় একাধিক পোস্ট করেছি। হাল সময়ে সোস্যাল সাইট সহ আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন ভাই! উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্রের মান কেমন? এটা দিয়ে কোথায় কোথায় চাকুরির আবেদন এবং উচ্চ শিক্ষার্থে ভর্তি হওয়া যায়, কোথাও প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা এরুপ নানাবিধ প্রশ্নের বিষয় নিয়ে আজকের পর্বটি সংযোজন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি ধৈর্য্য সহকারে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লেই যাবতীয় প্রশ্নের সমাধান পাবেন।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কারা?
আমরা অনেকেই জানি যে, বাউবিতে পড়ার ক্ষেত্রে বয়সের কোন বাধা নেই। এখানে যে কোন বয়সের ব্যক্তিই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় যে কোন কোর্সে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করতে পারেন। তবে এখানে অধিকাংশই বয়স্ক ও ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরাও বেশি ভর্তি হন। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে: অনেকের মনেই প্রশ্নের উদয় হয় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) থেকে পড়ালেখা শেষ করে আমি যদি সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারি তবে উক্ত সার্টিফিকেট/সনদপত্র দিয়ে আমি কি, কোথায় ও কোন কাজে ব্যবহার করতে পারব। সত্যিকার অর্থে বলতে হচ্ছে যে, বাউবির সনদপত্রের মান নিয়ে পূর্বেও যেমন এক শ্রেণির ব্যক্তির মধ্যে তর্ক, কটুক্তি ছিলো বর্তমানেও এই ধারা এখনো প্রচলন আছে। দেশে সি/ডি গ্রেড কোয়ালিটির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করা নিয়ে যেমন তর্ক বিতর্ক হয়, তেমনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জনকারীদের নিয়ে আলোচনাও কম নই।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কিংবা সনদ পত্রর বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা:
পৃথিবীর শুরু থেকেই বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রত্যেকটি বিষয়ে মানুষের আলোচনা সমালোচনার চর্চা চলছে ও চলবেই। আমাদের মধ্যে এক শ্রেণির মানুষ মনে করেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের কোন মূল্য নেই, চাকরির বাজারে এ সার্টিফিকেট দিয়ে তেমন কিছু করা যায় না। আবার অন্য শ্রেনির অনেকে মনে করেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাকরি করার ও উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ অবশ্যই সুযোগ পাই ও পাবে। আসলে মূল কথা হলো আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি ও অহমিকার বিষয়গুলো পরিবর্তন করা। যেমন: আমরা সবাই জানি বুয়েট দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এখানের সকল শিক্ষার্থী মেধার দিক দিয়ে শীর্ষে। তো সমাজের বাস্তব চিত্রে কথায় কথায় দেখা যায় অনেকাংশে, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ঢাবিকে পাত্তা দেয়না, আবার ঢাবির শিক্ষার্থীরা মেডিকেল সহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে পাত্তা দেয়না, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্স শিক্ষার্থীরা ডিগ্রিকে পাত্তা দেয়না, পরিশেষ ডিগ্রির শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা কোর্স কিংবা বাউবির শিক্ষার্থীদের পাত্তা দেয়না এই হলো অবস্থা। সুশীলজন, বুদ্ধিজীবি ও নিরঅহংকার মানুষের উক্তি কিন্তু এটা নই। আসলে সমালোচনা, আলোচনা সর্বস্তরে থাকবেই। সমালোচনার মাধ্যমে অনেকেই হিরো হয়েছেন।। কে, কি কোন কথা বললো এটা বিচার না করে একজন শিক্ষার্থীর বড় লক্ষ্য হলো সঠিকভাবে শিক্ষা অর্জন, মোটিভেশন থাকা এবং ক্ষেত্র বিশেষ চ্যালেঞ্জ গ্রহন করা। উল্লেখ্য আমি নিজেও বাউবির এসএসসি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ছিলাম। এই সনদপত্র অর্জন করে বেশ কয়েকটি চাকুরীতে অংশ গ্রহন করার ফলে যেমন ভালো অভিজ্ঞতা আছে তেমনি তিক্ততাও আছে যে গল্পগুলো নিচে বলছি।
- শুধু চাকরির বিষয়ে নই উচ্চ শিক্ষার ভর্তির ক্ষেত্রেও আমি ব্যক্তিগতভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছিলাম সেই গল্পটি পড়ুন এই লিংকে
উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মান কেমন?
আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত প্রশ্ন হল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মান কেমন? সার্টিফিকেট নিয়ে কি আমি সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরি পাব? প্রকৃতপক্ষে সার্থকতা হল সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মান সাধারণ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্য সকল শিক্ষা বোর্ডের মতই সমমান বলে বিবেচিত। তাছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ও একটি দূরশিক্ষণ পাবলিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান। সুতরাং চাকরির বাজারে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও শর্তাবলী থাকলে আপনিও চাকরির আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ এটা বোঝা গেল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট নিয়েও আপনি সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোন চাকরি করতে পারবেন। চাকরি করার জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে। এই কারণে আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স বা এমএ পাস করুন না কেন। চাকরি করার অভিজ্ঞতা/যোগ্যতা থাকলে অবশ্যই চাকরি পাবেন।
নিজের তিক্ততা ও অভিজ্ঞতা:
তবে এখানে লক্ষ্যনীয় যে, আমরা অনেকেই বলি উন্মুক্ত হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আরে ভাই এই পাবলিক সেই পাবলিক নই যেমন: ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম কিংবা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমমান করতে চাইছেন? মনে রাখবেন বাউবি একটি দূরশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক নামে মাত্র, এটা এক ধরনের বোর্ড বিশেষ। সরকার যখন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ১৯৯২ ইং সালে আইন উন্মুক্ত ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার উদ্যোগ গ্রহন করে এবং সেই সময় যদি এটা বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিয়ে উন্মুক্ত বোর্ড কিংবা জাতীয় বোর্ড লিখত তাতে কোন আশ্চর্য জনিত হবার কারণ ছিলো না। সুতরাং বাস্তবতা হলো আমি আপনি মানি কিংবা না মানি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মান একটু হলেও অন্যগুলোর তুলনায় কম হবে।
এখানে আপনি হয়ত একটি সনদপত্র অর্জন করলেন ঠিকই কিন্তু শিক্ষার গুনগত মান কিন্তু এক করতে পারবেন না। হয়ত আমার এই কথা শুনে অনেকেই ক্ষোভ ঝাড়বেন আমার প্রতি। আমি বাস্তবতা প্রমাণের জন্য আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো?
- ১। আপনার ছেলে-মেয়েকে সঠিক বয়সে শিক্ষা দানের জন্য জেনারেল স্কুল কলেজ বাদ দিয়ে উন্মুক্ততে ভর্তি করাবেন? আর অধিকাংশ লোকই উন্মুক্ততে ভর্তি করাতে চাই না কেন?
- ২। প্রতি বছর এইচএসএসসি পাস করা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আগ্রহই থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। অতপর শেষ ভরসা রাখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে! কেন উন্মুক্তের প্রতি আগ্রহ থাকেনা!
কারন একটাই উন্মুক্ত একটি দূরশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এখানে অধিকাংশই বয়স্ক ও ঝড়েপড়া স্টুডেন্টরাই ভর্তি হয়। সনদপত্রের মান এক হলেও শিক্ষার কোয়লিটি কিন্তু এখনো নিচু পর্যায়ে আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমিও বাউবির এসএসসি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী ছিলাম। সুতরাং একটু হলেও অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তিক্ততাও আছে।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরিতে কোথায় আবেদন করা যাবে?
- পূর্বেই বলেছি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট নিয়ে আপনি যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আরেকটু সহজ ভাবে বলি, মনে করুন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আপনি আবেদন করলেন। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আপনাকে চাকরি দেবে কিনা এটি ঠিক হবে আপনার ইন্টারভিউ কেমন হবে সেটার উপর। এখানে কিন্তু সার্টিফিকেটের কোন মূল্যায়ন নেই। তবে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা সার্টিফিকেট মূল্যায়ন করে চাকরি প্রদান করে।
- আপনার সরকারি চাকরির বয়স থাকলে আপনি সরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠানেই আবেদন করতে পাারবেন। এমনকি যোগ্যতা থাকলে বিসিএস পরীক্ষাটাও দিতে পারবেন। অর্থাৎ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে। বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানেও আপনি আবেদন করতে পারবেন। তবে এরপরেও কথা আছে নিয়োগ কমিটি কিংবা ভাইভা বোর্ডে পরীক্ষকদের মনমানসিকতা। যেমন: তারা ডিসিশন নিয়েই ফেললেন ভালো হোক কিংবা খারাপ হোক পাবলিক ভার্সিটি কিংবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিত কাউকে নিয়োগ দিবো না, তখন সেটা ভিন্ন কথা।
- পরিশেষে একটি কথা বলি বিশেষত যারা উন্মুক্ত হতে পাশ করেছেন। আপনি কোন নিয়োগ পরীক্ষাতে ভাইভা বোর্ডে গিয়েও ফেল মারেন তাতে কোন সমস্যা নাই। মনের দিক দিয়ে আপনি নিজেও প্রফুল্ল থাকবেন যে, কতটা প্রস্তুতি নিয়ে আপনি এখানে এসেছেন, কতটুকু মেধা ঝালাই হলো। তাছাড়া ভাইভা বোর্ড/কমিটি আপনাকে যদি নিয়োগ নাও দেয় তবুও তাদের মনে উদয় হবে সত্যিই ছেলে কিংবা মেয়েটা অনেক মেধাবী। কারন, উন্মুক্ত হতে পাশ করেও এতদূর এসেছে। কারণ চাকরি করার জন্য আপনার অভিজ্ঞতা ও ইন্টারভিউ বেশি প্রায়োরিটি পায়।
আমার দেখামতে বাউবি হতে পাশ করে বাংলাদেশ পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, নৌবাহিনী ও আনসার বাহিনীতে চাকুরী করছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থাতেও সফলতার সাথে কাজ করছে। অবশ্য এই সকল চাকরি প্রার্থীদের ৮৫% এর বেশি জেনারেল বোর্ড তথা এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাশ করে বাউবি হতে পরবর্তী সময়ে ডিগ্রি করেছে। সত্যিকার অর্থে দেশের প্রেক্ষাপটে বিশেষত ৩য়/৪র্থ শ্রেণির চাকরিতে তদবির কিংবা লবিং বেশি হয়। সুতরাং মামা, খালু থাকলেই আপনি সরকারি-বেসরকারি চাকুরিতে প্রবেশের সহজ একটি গেটওয়ে পাইলেন। বেসরকারির ক্ষেত্রে আবার অনেক প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত হতে পাশকৃত দের গ্রহন করেনা যেমন: প্রাণ-আরএফএল, ব্রাক, আশা, বসুন্ধরা, যমুনা, রহিম আফরোজ অনেক প্রতিষ্ঠানই গ্রহন করেনা। ব্যক্তিগতভাবে আমি একবার প্রাণ-আরএফএল নিয়োগ পরীক্ষাতে অংশ নিই। ভাইভাতে গেলে আমাকে জানানো হলো দূ:খিত বাউবি হতে পাশের কারনে আপনাকে নিয়োগ পত্র দিতে পারছিনা।
- ব্যক্তিগতভাবে আরেকটি প্রমাণ হলো আমি এই বছর (২০২৩) ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুলে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে অংশগ্রহন করি। এতে প্রায় ৪৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করত: সর্বশেষ ভাইতে ০৫ জন প্রার্থী অংশ নেয়। আমি লিখিত+কম্পিউটার ব্যবহারিক+ ভাইভাতে যাই। সেখানে ০২ জন পরীক্ষক আমার সনদ পত্র যাচাই শেষে বলে উঠলেন এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবহিত করলেন স্যার! এটা উন্মুক্ত হতে পাশ! বিষয়টা আমার নিজের এমন মনে হলো যে উন্মুক্ত হতে পাশ করে সম্ভাবত অপরাধী হয়ে গেছি কিংবা কোন বড় ভূল করেছি।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার
উপরের পয়েন্টের আলোচনা থেকে অনেকেই হয়ত আমাকে প্রশ্ন করবেন ভাই! বয়সও নাই, আবার পূর্বে পড়াশোনারও অভিজ্ঞতা নাই কিন্তু বর্তমানে পড়াশোনা করার প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে কিংবা একটি সনদপত্রের খুব প্রয়োজন। তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার পচ্ছন্দের অপশন হতে পারে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের দেশে এমন অনেক মেধাবী স্টুডেন্ট রয়েছে যাদের আর্থিক সমস্যার কারণে অকালে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ভবিষ্যতে তাদের পড়াশুনা করার স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই রয়ে যায়। তবে এ স্বপ্নপূরণ করার জন্য বাংলাদেশে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে যেটা প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
যেকোনো বয়সে এসে আপনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছেন। যে সকল মানুষ চাকরি, ব্যবসা বা অন্যান্য পেশাই জড়িত তারাও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করতে পারবে। এখন যেকোনো বয়সে এসে যদি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করা যায়।তাই কোন কারনে যদি আপনার লেখাপড়ার সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে এবং আপনার ইচ্ছা থাকে নামমাত্র ডিগ্রি কিংবা সনদপত্র অর্জনের সেখানে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন।
দৃষ্টি আকর্ষণঃ
তবে আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হলো যারা এসএসসি কিংবা এইচএসসি কোর্সে ভর্তি চান, সিরিয়াসলি লেখাপড়াসহ ভালো স্কোর করতে চান এবং পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া সহ ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি কিংবা এইচএসসি কোর্সে ভর্তি হওয়াটাই বেশি ভালো হবে। কারিগরীর অধীনে পড়াশোনার সুবিধা কি, পরবর্তীতে কোথায় উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাওয়া যাবে এই বিষয় নিয়ে আমাদের ব্লগ সাইটে একটি প্রতিবেদন/পোস্ট লিখেছিলাম নিচের লিংক/ট্যাগে ক্লিক করে পড়তে পারেন।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশকৃতদের যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভর্তির সুযোগ দেয় ও দেয় না:
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে এসএসসি পাশকৃত শিক্ষার্থীরা পরবর্তী সময়ে কারিগরি সহ জেনারেল যে কোন শিক্ষাবোর্ডে ভর্তি হতে পারে। অপরদিকে উন্মুক্ত থেকে এইচএসসি পাশকৃত শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাবি, ঢাবি অধিভূক্ত ০৭ কলেজ, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন যে কলেজে ভর্তি হতে পারে। এইগুলো ব্যতিত বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্মুক্তদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়না। তাছাড়া মেডিকেল, প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও গুচ্ছতেও বাউবি শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ নাই। তবে বাউবি হতে পাশ করে ডিপ্লোমা প্রকৌশল, কৃষি ও দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ আছে।
শেষ কথা
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য তথ্যাদি সম্পর্কে আপনি সম্যক ধারনা পেয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা আপনার তকদ্বীর ভালো লাগলে আপনি উন্মুক্ত হতে পড়াশোনার মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। তাই পড়াশোনায় এগিয়ে যেতে চাইলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন। মূল কথা আপনি যেখান হতে পড়ুন না কেন আপনাকে ১ম টার্গেট রাখতে ভালভাবে শেখা ও পড়ার ফলে উক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে ভালো চাকরি পাবার সুযোগ থাকবে।
উল্লেখ্য আমাদের ব্লগ সাইট ভিজিট করতে ব্রাউজারের সার্চবার কিংবা গুগলে গিয়ে পিয়নমামা ডটকম কিংবা Peonmama লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। আরেকটি বিষয়, পিয়নমামা ডটকম সাইটে শুধু লেখাপড়া বিষয়ক নই পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে চাকরির বিজ্ঞপ্তি, কম্পিউটার টিপস, অনলাইনে ইনকামের কৌশল, ফ্রিল্যান্স, ক্যারিয়ার আড্ডা, সফটওয়্যার রিভিউ ও ই-কমার্স নিয়ে পোস্ট পাবলিশ করা হবে।
Rules for commenting: Linking comments made without any reason for the purpose of getting backlinks will not be approved. However, linking comments for reasonable reasons will be approved after verification. Moreover we always follow zero spamming policy. So Be Careful..! to the policy of according at this blog.
comment url