বিএড ভর্তি বিজ্ঞপ্তি (০১ বছর মেয়াদী) :: আল্টিমেট গাইডলাইন ২০২৫

আসসালামু আলাইকুম। পিয়নমামা ডটকম সাইটের ভিজিটর বন্ধুরা আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনি কি ভবিষ্যতে একজন শিক্ষক হতে চান? তাহলে আপনি অবশ্যই B.Ed সম্পর্কে জানতে পারবেন। আজকের নিবন্ধে বিএড ০১ বছর মেয়াদী কোর্স নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। অন্যান্য দিনের মত আজকেও ক্যারিয়ার বিষয় তথা ০১ বছর মেয়াদী বি.এড প্রফেশনাল কোর্স নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশা করি ধৈর্য্য সহকারে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন। প্রথমেই আমরা জানবো-

বি.এড কোর্স কি?

B.Ed (ব্যাচেলর অফ এডুকেশন) ব্যাচেলর অফ এডুকেশনের শিরোনাম হল B.Ed. যারা শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চান এবং যারা এই পেশায় কর্মরত তাদের জন্য এই কোর্সটি উপযুক্ত। বাংলাদেশের সব সরকারি/বেসরকারি স্কুল-কলেজে, এই ডিগ্রিধারীদের দ্বিতীয় শ্রেণি হিসেবে অর্থ প্রদান করা হয়। এই কোর্সটি সাধারণত সহকারী শিক্ষক পদের জন্য উপযুক্ত, কখনও কখনও B.D কোর্সের কারণে সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে উল্লেখ করা হয়, তাই শিক্ষকদের বেতন বা পারিশ্রমিকও বেশি। BED মূলত ০১ বছরের একটি প্রফেশনাল স্নাতক সমমানের ডিগ্রি কোর্স।

বিএড-ভর্তি-বিজ্ঞপ্তি-০১-বছর-মেয়াদী

বি.এড কোর্সের প্রকারভেদ?

বাংলাদেশে ০২ ধরনের বি. এড কোর্স চালু আছে যথারুপ:
  • ক) ০৪ বছর মেয়াদী বিএড অনার্স প্রোগ্রাম। এটা মূলত এইচ,এসসি পাশের পর ভর্তি হতে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে এবং ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ০৪ বছরের বিএড অনার্স কোস পড়ানো হয়। এখানে ০৪ বছরে মোট ৮ টি সেমিস্টারে পাঠদান শেষ করা হয়।
  • খ) অপরটি হচ্ছে জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ০১ বছর মেয়াদী বি. এড কোর্স।  এটা মূলত ডিগ্রি কিংবা অনার্স পাশ করার পর ভর্তি হতে হয় মূলত যারা শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত কিংবা ভবিষ্যতে শিক্ষকতা পেশাতে যাবেন। এখানে মূলত ১ বছরে ০২ টি সেমিস্টারে পাঠদান শেষ করা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীন বি.এড ভর্তি টাইম লাইন :

  • আবেদন শুরু : ১৭/০২/২০২৫ ইং
  • আবেদনের সমাপ্তি :  ০৯/০৩/২০২৫ ইং
  • আবেদন ফি : 300/- টাকা [ অবেদনকৃত কলেজ অফিসে জমা দিতে হবে]
  • আবেদন ফি জমাদানের শেষ তারিখ : ০৯/০৩/২০২৫ ইং
  • আবেদন পদ্ধতি :  অনার্স /ডিগ্রি পাশের  জিপিএ এর ভিত্তিতে
  • ফলাফল প্রকাশের তারিখ: পরবর্তী সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
  • ক্লাশ শুরুর তারিখ: ০৭/০৪/২০২৫ ইং
  • ভর্তি পরীক্ষা :  ভর্তি পরীক্ষা নাই। ফলাফলের ভিত্তিতে মেধা স্কোর করা হয়।

০১ বছর মেয়াদী বিএড কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা?

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এক বছরের বিপিএড কোর্সে আগ্রহী শিক্ষার্থীকে স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তিন বছর মেয়াদি স্নাতক অথবা চার বছর মেয়াদি অনার্স বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যন্ত একটি পরীক্ষায় ৩য় বিভাগ কিংবা ২.০ জিপিএ থাকলেও আবেদন করা যাবে। যে কোন বয়সের লোক এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবে অর্থাৎ বয়স সীশার বাধ্যবাধকতা নাই । উল্লেখ্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফাজিল ও কামিল ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা কিংবা শিক্ষকেরা বিএড কোর্সে আবেদন কিংবা ভর্তি হতে পারবেন না। এই ক্ষেত্রে তাদেরকে বিএড সমমান বিএসএড কোর্সে আবেদন করতে হবে কিংবা ভর্তি হতে হবে। মূলত প্রতি বছরের শেষের দিকে তথা ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ তাদের ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে।

বি.এড কোর্সে কি কি বিষয় পড়ানো হয়?

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে শিক্ষাদানের দক্ষতা, মাধ্যমিক শিক্ষা, পাঠ্যক্রম এবং শিশু বিকাশ, শেখার জন্য মূল্যায়ন এবং প্রতিফলিত অনুশীলন, মৌলিক কম্পিউটার দক্ষতা এবং কর্ম গবেষণার বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও গ্রুপভিত্তিক বিষয় যেমন বাংলা, ব্যবসায় শিক্ষা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্মীয় শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্বাচনী বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখানে ০১ বছরে ০২ টি সেমিস্টারে ১২০০ মার্কের কোর্স করানো হয় যেখানে প্রতিটি বিষয়ের ৬০% মার্ক লিখিত, ৪০% ব্যবহারিক এবং ২০০ মার্ক প্রোজেক্ট পেপার/প্রেজেন্টেশন হিসেবে থাকে। উল্লেখ্য জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ০১ বছর মেয়াদী বি.এড কোর্সের সিলেবাস প্রায় হুবহু একই রকম। সুতরাং আপনি যেখান হতে কোর্স করুন না কেন সনদের মান একই রকম, সরকার স্বীকৃত এবং বেতন-কাঠামো পেতে কোনরুপ সমস্যা হবেনা
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বি.এড কোর্সের সিলেবাস দেখুন এখানে
  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বি.এড কোর্সের সিলেবাস দেখুন এখানে

কোথায় শিক্ষকতার সুযোগ পাওয়া যাবে এবং বেতন কাঠামো কেমন?

এই বিষয়ে কোর্স সমাপ্ত করার পর আপনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম গ্রেডের বেতনকাঠামো পাবেন। সাথেতো অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকছেই। বি.এড ডিগ্রী প্রাপ্তদের মাধ্যমিক স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণী র্কমর্কতার মর্যাদায় ১০ম গ্রেডে ১৬,০০০/= টাকা স্কেলে চাকুরীর সুযোগ এবং বি.এড প্রশিক্ষণ বিহীন ১২,৫০০/= টাকা স্কেল প্রদান করা হয়। আপনি যদি বিএড বিহীন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা পেশাতে যোগদান করেন তাহলে যোগদানের তারিখ হতে ০৪ বছরের মধ্য অবশ্যই আপনাকে বিএড কোর্স শেষ করতে হবে। উল্লেখ্য কলেজ/মাদ্রসা পর্যায়ের শিক্ষকতাতে তথা প্রভাষক পদে এবং মাদ্রাসার দাখিল লেবেল কিংবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপিএড শিক্ষকদের বিএড কোর্স করার প্রয়োজন নাই। এছাড়াও যারা ০৪ বছর মেয়াদী বিএড কোর্স শেষ করে শিক্ষকতা পেশাতে যোগদান করেছেন কিংবা করবেন তাদেরও নতুন করে বিএড কোর্স করার প্রয়োজন নাই।

চারুকলায় শিক্ষকতা

বি.এড কোর্সের চাহিদা ও চাকরির বাজার

বিসিএস, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার, ব্যাংকিং এবং অন্যান্য সমমানের শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড অনার্স সহ শিক্ষকরা তাদের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পান। কিন্তু কিছু চাকরির ক্ষেত্র শুধুমাত্র B.Ed. অনার্স স্নাতকদের জন্য উপলব্ধ এবং তাদের বাইরে কাউকে নিয়োগ করার সুযোগ নেই। যেমন-
  • ক) পিটিআই কোচ (সাধারণ)।
  • খ) পরীক্ষার স্কুলে সহকারী শিক্ষক।
  • গ) পুলিশ শিক্ষা অফিসার
  • ঘ) একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা
  • ঙ) প্রভাষক, রিসোর্স সেন্টার, উপজেলা
  • চ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এনইপি) বিভিন্ন পদ।
  • ছ) ব্যাচেলর অফ এডুকেশন (সম্মান) স্নাতকদের এনজিওগুলির মধ্যে উচ্চ চাহিদা রয়েছে৷
  • জ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগে বিভিন্ন পদে শিক্ষা গ্র্যাজুয়েটদের জন্য এটি সহজেই একটি সম্ভাব্য কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে। যেহেতু শিক্ষাগত স্নাতকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম তাই চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা কম।এছাড়াও, বিএড (সম্মান) স্নাতকরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে।

বিএড কোর্স ফি কত?

  • যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে বিএড কোর্সে ভর্তি হতে চান বলা চলে তারা প্রায় বিনা খরচে পড়ার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। পোশাক ও খাবার খরচ বাবদ এককালীন ১০-১২ হাজার টাকা লাগে। হোস্টেলে থাকাসহ সব সুবিধা ভোগ করার জন্য কোনো টাকা গুনতে হয় না। কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আছে খেলাধুলার আধুনিক সরঞ্জাম ও চিকিৎসার সুবিধা। অর্থাৎ সরকারি বিএড কলেজে ০১ বছরের কোর্সের সর্বমোট খরচ প্রায় ১২-১৩ হাজার টাকার মত হয়ে থাকে। উপরন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসে ৩৩০ টাকা হারে বৃত্তির ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।এখানে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে হয়।
  • অপরদিকে বেসরকারি কলেজগুলোতে সর্বমোট খরচ হয়ে থাকে ২৫,০০০/- টাকা হতে ৪০,০০০/- টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্টাডি সেন্টারগুলোতে ০১ বছর মেয়াদী বিএড কোর্সের সর্বমোট শিক্ষার ব্যয় হয়ে থাকে ২০০০০/- টাকা। অবশ্য বাউবির বিএড কোর্সের বই সম্পূর্ণ ফ্রি এবং নিয়মিত তেমন ক্লাশ করার প্রয়োজন নাই। 
  • সম্প্রতি বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তথা ঢাবি, জবি, ইবি ও রাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের আওতায় ০১ বছর মেয়াদি প্রফেশনাল বিএড কোর্স চালু করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। এখানে কোর্স সম্পন্ন করতে খরচ হয় সর্বনিম্ন ৪০,০০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৮০,০০০ টাকা।
বি.এড কোর্সে কি কি বিষয় পড়ানো হয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশনা:

  • যারা বিশেষত সরকারি কিংবা এমপিও স্কুল কিংবা মাদ্রাসাতে শিক্ষকতা পেশায় অলরেডি নিয়োজিত তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে আবেদন না করে সরাসরি সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে যেতে হবে, আবেদনকারীদের অবশ্যই কলেজ দ্বারা নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং সমস্ত প্রতিলিপি এবং একাডেমিক প্রশংসাপত্র, সনদপত্র, মূল শিক্ষকতার প্রশংসাপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়), সাম্প্রতিক পাসপোর্ট-আকারের ফটোগুলির দুটি কপি, এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট সরকারি টিচার্ ট্রেনিং কলেজে যাবতীয় ফি দিয়ে প্রদান করে ভর্তি কার্যত্রম শেষ করতে হবে। 
  • শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত তারা সরকারি বিএড কলেজে ভর্তি না হয়ে বেসরকারিতে আগ্রহী হলে অবশ্যই অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
  • যারা শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত নন তারা সরকারি কিংবা বেসরকারিতে ভর্তি হতে হলে অবশ্যই আবেদন ফর্ম পূরন করে সংশ্লিষ্ট কলেজে জমা দিতে হবে। 
  • এখানে কোনরুপ ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া লাগেনা। স্নাতক/অনার্স ফলাফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রনয়ণ করা হয়। 
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে মেধা তালিকা তৈরী করে প্রার্থীদের স্নাতকোত্তর (প্রফেশনাল) কোর্স বরাদ্দ দেয়া হবে৷ 
  • একই বিষয়ে একই স্কুল থেকে দুই বা ততোধিক আবেদনকারী থাকলে, স্নাতক স্তরের পরীক্ষার স্কোর এবং বয়সের উপর ভিত্তি করে সকল আবেদনকারীর গ্রেডের ক্রম উচ্চ থেকে নিম্ন পর্যন্ত নির্ধারিত হবে
  • গ) শূন্যপদ, কোটা এবং প্রকাশের তালিকার উপর ভিত্তি করে, প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানের ক্রমানুসারে ভর্তির ফলাফল ঘোষণা করা হবে এবং ভর্তির কোটা শেষ পর্যন্ত প্রকাশের তালিকার মাধ্যমে পূরণ করা হবে।  
  • সংশ্লিষ্ট কলেজ User ID, Password ও OTP ব্যবহার করে ভর্তির বিষয়ওয়ারী ফলাফল দেখতে পারবে৷
  • কলেজে ভর্তির আবেদন ফর্ম পূরণ সংশ্লিষ্ট কলেজে ৩০০/- ফি জমা দিতে হয়।
  • অতপর ফলাফল দেবার পর মেরিটে আসলে প্রয়োজনীয় ফি দিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তি হতে হবে।
  • ১ম মেরিটে না আসলে ২য় মেরিট এবং মাইগ্রেশনের আবেদন করা যায়। 
  •  জাতীয়তে বিএড কোর্সের ভর্তির নির্দেশিকা আবেদনের লিংক এখানে 

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এড ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশনা

  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিএড কোর্স করতে হলে অবশ্যই এখানে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়। 
  • বিএড কোর্সে ভর্তির নোটিশ দিলে প্রাথমিকভাবে বাউবির ওয়েব সাইটে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হয় এবং অনলাইনে আবেদন ফি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট কপি/ডকুমেন্ট প্রিন্ট করে রাখতে হয়। 
  • ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করার পর সংশ্লিষ্ট স্টাডি সেন্টার কিংবা বাউবির অফিসে গিয়ে ভর্তি সম্পন্ন করতে হয়। মূলত বাউবির অধীন একেটি স্টাডি সেন্টারে প্রায় ৪০০ টি মত আসন থাকে। 
  • বাউবিতে বিএড কোর্সের ভর্তির নির্দেশিকা আবেদনের লিংক এখানে 
বাউবির বি.এড প্রোগ্রাম ভর্তির টাইম লাইন :

  • আবেদন শুরু :  আবেদনের তারিখ: ১৫-১১-২০২৪ থেকে ২৮-১২-২০২৪ পর্যন্ত।
  • আবেদনের সমাপ্তি :  ২৮-১২-২০২৪ ইং তারিখ
  • আবেদন ফি : 700/- টাকা [ অনলাইনে ফর্ম] পূরণ করার সময় জমা দিতে হবে]
  • প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ : ০৬-০১-২০২৫ তারিখ
  • অনলাইনে প্রবেশপত্র প্রাপ্তির তারিখ : ০৮-০১-২০২৫ তারিখ থেকে ভর্তি পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত
  • ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময় :  ১৮-০১-২০২৫ তারিখ (সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত)
  • ভর্তি পরীক্ষার নম্বর: ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ)
  • ভর্তি পরীক্ষার স্থান : বিএড প্রোগ্রামের স্টাডি সেন্টারসমূহ
  • ফলাফল প্রকাশের তারিখ: 02/02/2025
  • ক্লাশ শুরুর তারিখ: পরবর্তী সময় জানিয়ে দেওয়া হবে

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বি.এড কোর্স করতে কত টাকা ব্যয় হয় কোন স্টাডি সেন্টার ভালো এবং কোথায় ক্যারিয়ারের সুযোগ রয়েছে জানতে মেগা পোস্টটি পড়ুন: এখানে

বি.এড কলেজের তালিকা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন (০১ বছর মেয়াদী) বিএড কোর্সের অনুমোদিত বেশ কিছু সরকারি ও জনপ্রিয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানাসহ নিম্নরুপ লিপিবদ্ধ করা হলো। মূলত নিচে প্রদত্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের শিরোনামে ক্লিক করলেই তাদের অফিসিয়াল সাইটে আপনাকে নিয়ে যাবে। ফলে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী আপনি সেখান হতেই জেনে নিতে পারবেন। তছাড়া আপনি অনলাইনে এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে ফরম পূরনের সময় জেলাওয়ারী হিসেবে কলেজ ক্যাটাগরীতে নামগুলো দেখতে পারবেন। মূলত ০৬টি সরকারি ও ২৩টি বেসরকারি কলেজে এ কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। কলেজগুলোতে ১০০ থেকে ২০০টি করে আসন রয়েছে।

সর্বশেষ:

পোষ্টের আলোচনার একদম শেষ পর্যায়ে।  B.ED কোর্স নিয়ে আপনারা অনেকেই সঠিক গাইড লাইন নিয়ে ভালো একটি টিউটোরিয়াল সাইট খুঁজছিলেন। হয়ত আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজনে আপনি যদি উপকৃত হোন তাহলে একটু হলেও স্বার্থকতা খুঁজে পাবো। সুতরাং সিরিয়াসলি যারা আইসিটি বিষয়ে শিক্ষকতা পেশাতে আসতে চান তাদের জন্য এই বছরের সর্বশেষ সুযোগ বলা যেতে পারে। আপনি ভর্তি হতে যত বিলম্ব করবেন আপনি ঠিক চাকুরির প্রস্তুতি থেকে ততটা পিছিয়ে থাকবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আগামী পর্বে ক্যারিয়ার বিষয়ক অন্য কোন টপিক নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য আমাদের ব্লগ সাইট ভিজিট করতে ব্রাউজারের সার্চবার কিংবা গুগলে গিয়ে পিয়নমামা ডটকম কিংবা PeonMama লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। তাছাড়া ওয়েব সাইটে ভিজিট করে ক্যাটাগরি/লিস্টের তালিকা হতে পচ্ছন্দসই পোস্ট বাছাই করতে পারবেন।আরেকটি বিষয়, পিয়নমামা ডটকম সাইটে শুধু লেখাপড়া বিষয়ক নই পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে চাকরির বিজ্ঞপ্তি, কম্পিউটার টিপস, অনলাইনে ইনকামের কৌশল, ফ্রিল্যান্স, ক্যারিয়ার আড্ডা, সফটওয়্যার রিভিউ ও ই-কমার্স  নিয়ে পোস্ট পাবলিশ করা হবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url