একাদশ (এইচএসসি) শ্রেণিতে সকল ভর্তির আল্টিমেট গাইডলাইন :: ২০২৪

পিয়নমামা ডটকম সাইটের পক্ষ থেকে সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা। আশা করি মহান আল্লাহ্ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেন। ২০২৪ ইং সালে বিশেষত যারা বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) হতে এসএসসি (মাধ্যমিক) পাশ করছেন তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা। বাউবি হতে পাশকৃত অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্নতা কিংবা চিন্তিত আছেন এই ভেবে যে, কোথায় এইচএসসি ভর্তি হবেন কারিগরী শিক্ষাবোর্ডর বিএমটি কিংবা অন্যকোন ডিপ্লোমা কোর্সে, জেনাবেল বোর্ড নাকি বাউবির স্টুডেন্ট বাউবিতেই ভর্তি হবেন? মূলত বাউবির পাশকৃত শিক্ষার্থীদের অস্থিরতা, দুঃচিন্তার ভয় কাটাতে সুপরামর্শের জন্য নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে আজকে আমার এই পোস্টের  বিশেষ আয়োজন।

আমি ধারাবাহিকভাবে জেনারেল বোর্ড হতে শুরু করে কারিগরি ও বাউবির পড়াশোনার বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করবো। প্রথমে শুরু করছি জেনারেল বোর্ড এর বিষয় নিয়ে।

HSC-Admission

১। জেনারেল শিক্ষা বোর্ডঃ

জেনারেল শিক্ষাবোর্ড বলতে ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম সহ সাধারন ০৮ টি শিক্ষা বোর্ড বলতে বোঝায়। এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থী নিজের সুবিধার্থে এক বোর্ড হতে অন্য যে কোন শিক্ষার বোর্ডের অধীনে কলেজে ভর্তি হতে পারবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

  • ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ ইং সালে যে কোন শিক্ষাবোর্ড হতে পাশকৃত শিক্ষার্থী এবং বাউবি হতেও পাশকৃত শিক্ষার্থী এইচএসসি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। অর্থাৎ এসএসসি পাশের ০৩ বছরের মধ্যে আপনি জেনারেল শিক্ষাবোর্ডের কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারবেন।
  • আপনি জেনারেল শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বাংলাদেশের কোথায় ভর্তি হতে/পড়তে চান সেটি xiclassadmission ওয়েব সাইটে গিয়ে রেজিঃ করতে হবে। অতপর লগইন করার পর আবেদন ফি ১৬০/- টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর .......... কাংখিত কলেজে লিস্ট দেখতে পাবেন। এখান হতে আপনি সর্বনিম্ন ০৫ টি ও সর্বোচ্চ ১০ টি কলেজের তালিকা যোগ করতে পারবেন।
  • অতপর ফলাফল পাবলিশ হওয়ার পর আপনাকে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ যে কলেজ মনোনীত করবে সেখানে ভর্তি নিশ্চয়ন ফি পরিশোধ করে ভর্তি হতে হবে। 

 জেনারেল শিক্ষা বোর্ডের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির টাইম লাইন :

  • আবেদন শুরু: ২৬/০৫/২০২৪ ইং
  • আবেদনের সমাপ্তি:  ১৩/০৬/২০২৪ ইং
  • আবেদনের ফি/চার্জ:  ১৬০/- টাকা 
  • ১ম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ :  ২৩/০৬/২০২৪ ইং (রাত ৮.০০ ঘটিকা)
  • ১ম পর্যায়ে শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চয়ন : ২৩ জুন থেকে ২৯ জুন ২০২৪
  • ২য় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ : ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই ২০২৪
  • ১ম মাইগ্রেশনের ফলাফল প্রকাশ : ৪ জুলাই ২০২৪ রাত ৮:০০ টায়
  • ২য় পর্যায়ে আবেদনের ফল প্রকাশ : ৪ জুলাই ২০২৪ রাত ৮:০০ টায়
  • ২য় পর্যায়ে আবেদনের ফল প্রকাশ : ৪ জুলাই ২০২৪ রাত ৮:০০ টায়
  • ২য় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চয়ন : ৫ জুলাই থেকে ৮ জুলাই ২০২৪
  • ৩য় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ : ৯ জুলাই থেকে ১০ জুলাই ২০২৪
  • ২য় মাইগ্রেশনের ফলাফল প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৪ রাত ৮:০০ টায়
  • ৩য় পর্যায়ে আবেদনের ফল প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৪ রাত ৮:০০ টায়
  • ৩ য় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চয়ন : ১৩ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই ২০২৪
  • ভর্তি : ১৫ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই ২০২৪
  • ক্লাশ শুরু : ৩০ জুলাই ২০২৪ ইং
  • ভর্তি পরীক্ষা : দিতে হয়না। শুধুমাত্র এসএসসি পাশের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি কলেজে আলাদাভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়।

  • নির্দেশিকা ও আবেদন লিংক : HSC Admission

HSC_Admssion_Site

ভর্তি হওয়ার শর্তাবলীঃ
  • ১। অনলাইনে আবেদন করার সময় যে ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড/পিন পাবেন তা নিদিষ্ট কোথাও লিখে রাখবেন। কারন, যে কোন সময় বিষয়/কলেজ পরিবর্তন কিংবা ফলাফল দেখার সময় উক্ত পিন/পাসওয়ার্ড কাজে লাগবে।

  • ২। আবেদন ফি ১৫০/- টাকা পে করতে হবে। অতপর কলেজ বাছাই করার সময় কোন নিদিষ্ট কলেজ সিলেক্ট করলে সেই কলেজের আসন সংখ্যা, শিফট, কোটার অপশন দেখতে পারবেন। 

  • ৩। কোন কলেজ বাছাই করার পর সেটি নির্বাচন/সংযুক্ত না হলে বুঝতে হবে উক্ত কলেজে ভর্তি হওয়ার আপনার নির্ধারিত জিপিএ নাই কিংবা উক্ত কলেজে মানবিক/ব্যবসায় শিক্ষা/ বিজ্ঞান বিভাগ নাই।

  • ৪। বিশেষত রাজধানীর নামকরা কলেজ ও বিভাগীয় পর্যায়ের কলেজগুলোতে সর্বোচ্চ জিপিএ ৫.০ চান্স পেয়ে থাকে। অপরদিকে জেলা শহরের নামকরা কলেজগুলোতে জিপিএ ৪.৫০ থেকে ৫.০০ উত্তীর্ণরা চান্স পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

  • ৫। গ্রাম তথা মফস্বল কলেজগুলোতে এমনিতেই কম জিপিএ থাকলেও চান্স হবে। তাছাড়া সরকারি মহিলা কলেজগুলোতে তুলনামূলক জিপিএ কম থাকলে চান্স থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমার অভিজ্ঞতাতে দেখছি বিগত ৩-৪ বছরে সরকারি কলেজগুলোতে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সর্বনিম্ন জিপিএ ৪.১০ থাকলেও চান্স পাচ্ছে। 

  • ৬। কোন কলেজ গুলো আপনার ১ম পচ্ছন্দের সেই গুলো ক্রম অনুযায়ী সাজানোর চ্ষ্টো করবেন। অর্থাৎ সর্বনিম্ন ০৫ টি ও সর্বোচ্চ ১০ টি কলেজের তালিকা যোগ করতে পারবেন।

  • ৭।  কোন কলেজে নির্বাচন করলেই যে আপনি চান্স পাবেন তার কোন গ্যারান্টি নাই। উদাহরনঃ আপনার জিপিএ ৩.৫০। আপনি  মানবিক শাখাতে ভর্তির আবেদনে ১ম তালিকাতে মাগুরা সরঃ কলেজ নির্বাচন করলেন। এখন দেখা যাচ্ছে মানবিক শাখাতে উক্ত কলেজে আসন সংখ্যা ১৫০। এই ১৫০ জনের মধ্যে মোট আবেদন জমা পড়লো ৮০০ জনের। সেখানে ১৫০ জনেরই জিপিএ ৫.০০। সুতরাং ঐ ১৫০ জন ভর্তির ফলাফলের তালিকাতে সংযুক্ত হবে। আপনার জিপিএ কম থাকার কারনে আপনি চান্স পাবেন না। অর্থাৎ জিপিএ এবং কলেজ বাছাই এর উপর ভিত্তি করে কোন শিক্ষার্থী নিদিষ্ট কলেজে চান্স পেয়ে থাকে। 

  • ৮। আবেদন করার পর ফলাফল প্রকাশিত হলে সেখানে আপনি উত্তীর্ণ হলে মনোনীত কলেজে ভর্তির ইচ্ছা থাকলে আসন/সীট কনফার্ম করার জন্য পূনরায় আপনার প্রফাইল লগইন করে সীট দখল নেওয়ার জন্য ৩১০/- টাকা ফি প্রদান করতে হবে।

  • ৯। পরিশেষে মনোনীত কলেজে গিয়ে সেখান হতে ভার্ত ফর্ম পূরন করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমনঃ মূল মার্কসীট, প্রশংসাপত্র, অনলাইন আবেদনের কপি জমা দিতে হবে এবং কলেজ প্রদত্ত নিদিষ্ট ফি জমা দিতে হবে।

  • জেনারেল শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশিকা, ভর্তির যোগ্যতা, কিভাবে আবেদন করবেন, ফি পরিশোধ করবেন ও অন্যান্য শর্তাবলী জানতে ভিজিট করুন এখানে

বাউবির শিক্ষার্থীদের জন্য জেনারেল শিক্ষাবোর্ডে পড়াশোনার অসুবিধা ও পরামর্শ

বাউবি হতে যারা এসএসসি পাশ করেছেন তাদের জন্য আমার পরামর্শ হলো কোন আবেগ, উদ্দীপনা কিংবা অনভিজ্ঞ ব্যক্তির কথাতে কান দিয়ে জেনারেল বোর্ডের অধীনে ভর্তি হয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না। সিরিয়াসলি যারা ভালোভাবে লেখাপড়া করতে চান, পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার্থে ভাল কোন প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স/ডিগ্রি করতে চান তারা ইচ্ছা করলে জেনারেল বোর্ডে ভর্তি হতে পারেন। অর্থাৎ মনে একটা জেদ ভাব আছে যে, আমাকে করতেই হবে, অন্যকে দেখিয়ে দিবো এমন হলে অবশ্যই জেনারেল শিক্ষাবোর্ড চয়েজ দিতে পারেন। আমার অভিজ্ঞতাতে দেখেছি যে, অনেকে বাউবি হতে পাশ করে এসে নিজেকে ফ্যাশন শো দেখানোর জন্য, জেনারেল স্টুডেন্টদেরকে জাহির করার জন্য এখানে ভর্তি হয়ে যেটুকু স্বপ্ন ছিলো তা শেষ করে দিয়েছে। আমি এখানে বাউবি স্টুডেন্টদেরকে ছোট করার জন্য বলছিনা, বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বলছি। বাউবির এসএসসিতে যারা সি,বি গ্রেড পেয়েছেন তাদের পরামর্শ হলো আপনাদেরকে জেনারেল বোর্ডে এইচএসসিতে ভর্তি না হওয়ার অনুরোধ করবো। জেনারেল শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাউবির স্টুডেন্টেদের পড়াশোনার মটিভেশন, স্কীল ৯০% কম থাকে। তাছাড়া জেনারেলে পড়াশোনা করতে গেলে ইংরেজিতে অনেক ভালো হতে হয়, বাউবি হতে বইগুলোর কলেবর অনেক বড়, ক্ষেত্র বিশেষ প্রাইভেট পড়তে হয়, তাছাড়া নিয়মিত ক্লাশ করারও বিধি-বিধান তো আছেই।

জেনারেল শিক্ষাবোর্ডে পড়াশোনার খরচ

সরকারি কলেজগুলোতে বিশেষত জেলা কিংবা উপজেলাতে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানে ০২ বছরে শিক্ষার ব্যয় হয়ে থাকে সর্বসাকুল্য ৫-৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। বেসরকারি কলেজ গুলোতে ১০,০০০/- পর্যন্ত ব্যয় হয়। অপরদিকে ঢাকা মহানগর কিংবা সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত বেসরকারি কলেজ গুলোতে ব্যয় হয় ১৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

২। কারিগরি শিক্ষাবোর্ড (০২ বছরের বি,এম,টি কোর্স)

বাউবি হতে আপনি এসএসসি পাশ করে থাকলে ব্যক্তিগতভাবে তাদের জন্য আমার সাজেস্ট হলো আপনি কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচ,এস,সি বিএমটি কোর্সে ভর্তি হওয়া। বিএমটি হলো ০২ বছরের এইচ,এস,সি সমমান ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা টেকনোলজী বিষয়ক কোর্স। এটা উন্মুক্ত এবং জেনারেল বোর্ডের পড়াশোনার কোর্স হতে অনেক সহজ। বলা যেতে পারে এই কোর্সে মার্ক/জিপিএ অনেক সহজে পাওয়া যায়। বিশেষত যারা এসএসসিতে কম স্কোর পেয়েছেন কিন্তু আশা আছে পরবর্তী সময়ে ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে অনার্স/ডিগ্রি ভর্তি হওয়ার। সেখানে কিন্তু ভর্তি হওয়ার জন্য ভালো একটা স্কোর ভূমিকা রাখবে। সুতরাং সহজ পর্যায়ে জিপিএ ভালো করার জন্য কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের বিএমটি কোর্সের কোন বিকল্প দেখছিনা।  মূলত এখানের প্রতিটা কোর্সে লিখিত বোর্ড পরীক্ষা হয়ে থাকে ৬০ মার্কের এবং স্যারেদের হাতে থাকে ৪০ মার্ক। বিএমটি কোর্সের পড়াশোনা গুলো অনেকটাই প্রাকটিক্যাল। এখানে যে কোন বয়সের কিংবা যে কোন সালের যে কোন গ্রেডে পাশকৃত শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। প্রতি বছর জেনারেল বোর্ড একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়। আরেকটি বিষয় এই কোর্সে ভর্তি হলে জেনারেলদের মত প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন পড়েনা। ঠিক একই সময়ে কারিগরী শিক্ষাবোর্ডও এইচ,এস,সি বিএমটি কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে। 

BMT_Admision_Site

(খ) কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অন্যান্য (০৪ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স সমূহ)

০২ বছরের বিএমটি কোর্স বাদেও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ০৪ বছরের বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্স চালু আছে সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজগুলোতে। ০৪ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সগুলো হলো ইঞ্জিনিয়ারিং  বিষয় যেমন: (কম্পউটার, রেফ্রিজারেশন, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, ফুড টেকনোলজি, অটোমোবাইল ইত্যাদি), এছাড়াও ০৪ বছরের কৃষি, ফরেস্ট, মেরিন, টেক্সটাইল কোর্স চালু আছে। উল্লেখ্য এই সকল ০৪ বছরের কোর্স শেষ করার পর স্নাতক (অনার্স) ডিগ্রি লাভের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ডুয়েটসহ যে কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায়। তবে বর্তমানে কোন অবস্থাতেই দেশসেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনার্স পড়ার সুযোগ নাই। অবশ্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রি করার সুযোগ থাকে। 

  কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের H.S.C B.M.T কোর্সের  ভর্তির টাইম লাইন :

  • আবেদন শুরু: ২৬/০৫/২০২৪ ইং
  • আবেদনের সমাপ্তি:  ১৩/০৬/২০২৪ ইং
  • আবেদনের ফি/চার্জ:  ১৬০/- টাকা 
  • নিশ্চয়ন ফি/চার্জ:  ১৯৫/- টাকা 
  • ভর্তি : নিশ্চয়ন ফি জমা দেওয়ার পর অনলাইন প্রিন্ট কপি নিয়ে সরাসরি কলেজে যেতে হবে।
  • ক্লাশ শুরু : ৩০ জুলাই ২০২৪ ইং
  • ভর্তি পরীক্ষা : দিতে হয়না। শুধুমাত্র এসএসসি পাশের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি কলেজে আলাদাভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়।
  • নির্দেশিকা ও আবেদন লিংক : B.M.T Admission
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য শর্তাবলীঃ
  • কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ০২ বছর কিংবা ০৪ বছরের যে কোর্সেই আপনি ভর্তি হোন না কেন যে কোন সালের এসএসসি পাশ হলেই হবে। অন্যান্য শিক্ষাবোর্ডের ন্যায় বাউবি হতে পাশকৃত শিক্ষার্থীও আবেদন করতে পারবে।
  • আপনি কারগিরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বাংলাদেশের কোথায় ভর্তি হতে/কোন কোর্সে পড়তে চান সেটি উপরের টেবিলের আবেদন লিংকে  প্রবেশ করুন। প্রাথমিকভাবে একটা নিদিষ্ট ফি প্রদান করে রেজিঃ করতে হবে। এরপর লগইন করে কাংখিত কলেজে লিস্ট দেখতে পাবেন। এখান হতে আপনি পচ্ছন্দসই কলেজের তালিকা যোগ করতে পারবেন।
  • সরকারি পলিটেকনিক/ভোকেশনাল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য ভালো জিপিএ থাকতে হয়। বেসরকারি কলেজ গুলোতে শুধু আবেদন করে সরাসরি উক্ত কলেজে গিয়েই  ভর্তির কাজ সম্পন্ন করা যায়।
  • অতপর ফলাফল পাবলিশ হওয়ার পর আপনাকে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ যে কলেজ মনোনীত করবে সেখানে ভর্তি নিশ্চয়ন ফি পরিশোধ করে ভর্তি হতে হবে। এই নিয়মটা ০৪ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য প্রযোজ্য।
  • অপরদিকে যারা ০২ বছরের বিএমটি কোর্সে ভর্তি হবেন। প্রথমে আবেদন ফি দিয়ে আবেদন ফর্ম পূরন করুন অতপর আসনটি নিশ্চিত অর্থাৎ কাঙ্খিত কলেজে সীটটি ধরার জন্য একই দিনে অথবা নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই আসনটি নিশ্চিত করার জন্য পূনরায় কনফার্ম ফি ১৯৫/- টাকা পে করুন। অর্থাৎ আবেদন ফি- ১৬২ টাকা + ভর্তি নিশ্চয়ন ফি ১৯৫ টাকা = সর্বমোট ৩৬০/- টাকা পরিশোধ করে, আবেদনের কম্পিউটার প্রিন্ট নিয়ে যে কলেজের জন্য ভর্তি নিশ্চয়ন করেছেন সেই কলেজে চলে যাবেন। স্যারেদের দেখালেই পরবর্তী পদক্ষেপ তারা গ্রহন করবেন। জেনারেল বোর্ড কিংবা সরকারি পলিটেকনিকের ০৪ বছর ডিপ্লোমা কোর্সের ফলাফলের মত অপেক্ষা করা লাগেনা।
  • কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশিকা, ভর্তির যোগ্যতা, কিভাবে আবেদন করবেন, ফি পরিশোধ করবেন ও অন্যান্য শর্তাবলী জানতে ভিজিট করুন এখানে

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পড়াশোনার খরচ

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএমটি কোর্সগুলো মুলত বেসরকারি বিএমটি কলেজগুলোতে পাঠদান করা হয়, সরকারি ভোকেশনাল কলেজগুলোতে এখনো চালু হয়নি। এই সকল প্রতিষ্ঠানে ০২ বছরে শিক্ষার ব্যয় হয়ে থাকে সর্বসাকুল্য ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে ০৪ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স সরকারি পলিটেকনিকসহ অন্যান্য সরকারি কলেজে খরচ হয়ে থাকে প্রতি বছরে ৪,০০০/- টাকার মত। কিন্তু বেসরকারি কলেজে এই কোর্সের মোট ব্যয় হয়ে থাকে সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা। 

Bangladesh_Open_University

৩। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)

কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের মতই যে কোন বয়সের কিংবা যে কোন সালের যে কোন গ্রেডে পাশকৃত শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। বিশেষত যারা শিক্ষার্থী হিসেবে অতি প্রবীণ এবং শুধুমাত্র নিজের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে চান অর্থাৎ জাস্ট একটা সনদ হলেই হলো তাদের জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়াটাই বেস্ট হবে।কিন্তু যাদের অন্য উদ্দেশ্য যেমন চাকুরী, উচ্চতর পড়াশোনা যে বিষয়গুলো উপরের আলোচনাতে বলেছি সেই সব শিক্ষার্থীদের জন্য আমি বাউবিকে সাজেস্ট করিনা তার অন্যতম কারনগুলো হলোঃ

  • যদি বাউবি থেকে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাশ করে পরবর্তীতে অনার্স ভর্তি হতে চান তাহলে অধিকাংশই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাউবির শিক্ষার্থীদের এলাউ করেনা। অপরদিকে বাউবিতে যারা কম স্কোর কিংবা জিপিএ পেয়ে পাশ করবেন তাদের কিন্তু সরকারি কলেজগুলোতেও অনার্স করার শেষ সুযোগও হয়না।

  • সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষার মান এক হলেও অনেক চাকুরী নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর অনেকেই বাউবির শিক্ষার্থীদের বাঁকা চোখেই দেখে।

  • আরেকটি বিষয়ে না বলে পারছিনা তাহলো জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদে বয়স সংশোধন করার ক্ষেত্রে অনেক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। অনেক প্রতিষ্ঠানই বাউবির শিক্ষার্থীদের সনদগুলো দিয়ে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

  • ফলাফল প্রকাশ ও মার্কসীট বিতরনেও দীর্ঘ সময় নেয় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। যেমনঃ আপনি বাউবি হতে এইচ.এস.সি পাশ করে জেনারেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে যাবেন ঠিক উক্ত সময়ে দেখবেন হয়ত আপনার মার্কসীট আসে নাই কিংবা বাউবির সার্ভার বন্ধ আছে। 

  • ফলে কি হচ্ছে আপনাকে বাধ্য হয়েই পরবর্তী শিক্ষা নিতে পূনরায় বাউবিতেই আপনাকে ভর্তি হতে হচ্ছে কিংবা থাকতে হচ্ছে। আসলে এমনটা করা হচ্ছে উন্মুেক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অভিনব কৌশল যাতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্য কোথাও না যেতে পারে। আমি নিজেও এর ভূক্তভোগী ছিলাম যেটার গল্প আরেক দিন বলবো। তাছাড়া অনেককেই সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখেছি উন্মুক্ত হতে পাশ করে।

  বাউবিতে H.S.C কোর্সের  ভর্তির টাইম লাইন :

  • আবেদন শুরু: ০১/০৬/২০২৪ ইং
  • আবেদনের সমাপ্তি:  ১৫/০৯/২০২৪ ইং পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে
  • আবেদনের ফি/চার্জ:  ১০০/- টাকা 
  • ভর্তি ফি/চার্জ:  ৪,৫২৩/- টাকা (অবশ্যই অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে)
  • ভর্তি : ভর্তি ফি জমা দেওয়ার পর অনলাইন প্রিন্ট কপি নিয়ে সরাসরি বাউবির নিকটস্থ অফিসে যেতে হবে।
  • ক্লাশ শুরু : ০১ অকোটাবর ২০২৪ ইং
  • ভর্তি পরীক্ষা : দিতে হয়না। শুধুমাত্র এসএসসি পাশের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি কলেজে আলাদাভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়।
  • ভর্তি নির্দেশিকা ও আবেদন লিংক : Opeon University Admission

বাউবিতে পড়াশোনার খরচ

বাউবির অধীনে এইচএসসি কোর্সগুলো মুলত সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে টিউটোরিয়াল কেন্দ্র হিসেবে পাঠদান করা হয়। এই সকল প্রতিষ্ঠানে ০২ বছরে ফর্ম পূরন+রেজিঃ+পরীক্ষার ফিসসহ শিক্ষার ব্যয় হয়ে থাকে সর্বসাকুল্য ৮-১০,০০০ টাকা পর্যন্ত। আরেকটি বিষয় এখানে জেনারেল কিংবা কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের মত নিজ খরচে কোন বই ক্রয় করতে হয়না। 

কিভাবে ভর্তি হবেন কিংবা কিভাবে আবেদন করতে হয় বাউবিতে?

বাউবির ওয়েবসাইট এখানে ক্লিক করলে নিচের মত ইন্টারফেস চিত্র আসবে > Offered Program অপশন হতে Open School এ ক্লিক করে এসএসসি প্রোগ্রামের পাশে প্রদর্শিত ভর্তি নির্দেশাবলী (learner's guide এবং View details ) গুরুত্ব সহকারে পড়ে (+) কিংবা (-) এ ক্লিক করলে যে কোর্সগুলোতে ভর্তি চলছে সেখানে Apply Now লেখা আসবে।

BOU Apps

  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকা, ভর্তির যোগ্যতা, কিভাবে আবেদন করবেন, ফি পরিশোধ করবেন ও অন্যান্য শর্তাবলী জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করুন এখানে

আবেদন করার বিষয়ে পরামর্শ

  • আপনি যেখানেই ভর্তি হোন না কেন ভর্তি হওয়ার পূর্বে প্রদেয় ওয়েব সাইটের লিংক হতে ভর্তি নির্দেশিকা পড়ে নিবেন ও প্রয়োজনীয় বিষয় বস্তু নোট করে রাখবেন। বর্তমানে যাদের নিজস্ব পিসি কিংবা ল্যাপটপ আছে কম্পিউটার বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকলে আপনি নিজের ভর্তির আবেদন নিজে করতে পারবেন কিংবা  অন্যজনকেও পূরন করে দিতে পারবেন।

  • ওয়েব সাইট কিংবা ইউটিউব হতে ভিডিও দেখেও বিষয়গুলো রপ্ত করতে পারবেন। বিশেষত যারা বাউবি হতে পাশ করে কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ০২ বছরের বিএমটি কোর্সে ভর্তি হবেন অর্থাৎ বিএম কলেজে ভর্তি হতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই BMTA কোড সিলেক্ট করে ভর্তির আবেদনের ১৬২/- টাকা জমা দিবেন। 

  • কম্পিউটার এর দোকান হতে পূরন করতে গিয়ে অবশ্যই দোকানদারকে বলে দিবেন যে, আপনি মূলত কিসে/কোন কোর্সে আবেদন করবেন! যেমন: ০২ বছরের বিএমটি কোর্সে ভর্তি হবেন। কেননা, কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স করানো হয় এবং কোড নম্বরও ভিন্ন হয়ে থাকে ফলে সুনিদিষ্ট ভাবে না বললে অনেকে বুঝতে পারেন না। 

  • বাউবিতে ভর্তি হতে গেলে অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরন করতে হবে > যে টাকার এমাউন্ট দেখাবে সেটি পরিশোধ করতে হবে। অতপর কম্পিউটার প্রিন্ট দেওয়া কাগজ পত্রাদি নিয়ে আপনার নিকটস্থ বাউবি আঞ্চলিক কেন্দ্র/উপ-কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। সেখান হতেই আইডি কার্ড ও বইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।

  • জেনারেল বোর্ড কিংবা কারিগরী বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা প্রকৌশল বিষয়ে পড়তে হলে স্ব স্ব ওয়েব সাইট হতে আবেদন করতে হবে। অতপর নিদিষ্ট সময়ে ফলাফল দেওয়ার পর আপনি চান্স পেলে কাঙ্খিত কলেজে গিয়ে প্রয়োজনীয় টাকা দিয়ে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।

এইচ,এস,সি (একাদশ শ্রেণিতে) ভর্তির বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ

  • অনেকেই প্রশ্ন রাখতে পারেন ভাই! আপনি কিসের ভিত্তিতে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন? তাহলে তার প্রতিত্তরে বলবো যে, ভাই আমি নিজেও বাউবি হতে এসএসসি পাশ করেছিলাম। অতপর সেই সময়ে ২০১৫ সালের দিকে নিজে অনুসন্ধানী ও তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বিএমটি ট্রেড হতে এইচএসসি পাশ করি। আলহামদুলিল্লাহ্ পরিশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ০৭ কলেজ হতে ২০২২ ইং সালে অনার্স পাশ করি। সত্যি কথা বলতে কি ঐ সময়ে আমার সাথে বাউবি হতে যারা এসএসসি পাশ করেছিলো এবং আমার থেকেও যারা জিপিএ ভালো পেয়েছিলো তারা কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবেগের তাড়নায় জেনারেল বোর্ডে ভর্তি হয়েছিলো। অবশেষে তাদের কারোরই অনার্স/ডিগ্রি শেষ করতে পারে নাই।
  • এর মূল কারণ হলো জেনারেলে ভর্তি হয়ে রেগুলারভাবে পাশ করে বাহির হতে পারে নাই আবার অনেকের এইচএসসিতে ভালো ফল করতে পারে নাই। সুতরাং এবার বুঝতেই পারছেন আমার অভিজ্ঞতার কথা! শুধু অভিজ্ঞতা নাই তিক্ততাও রয়েছে যেমন: ওপেন/বাউবি হতে এসএসসি পাশ করার কারনে আমি সেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে অনার্স ভর্তির আবেদন করার সুযোগ হয়নি। এই রকম বাস্তব অভিজ্ঞা ও তিক্ততায় পরিপূর্ণ এসএসসি হতে শুরু করে অনার্স কিভাবে শেষ করলাম প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এখানে। আসলে এখানে আমার নিজেকে জাহির করার জন্য নই, আপনাদেরকে মোটিভেশন দেওয়ার জন্যই আমাকে এই কথাটুকু বলতে হলো।

সর্বশেষ কথা

পোস্টের আলোচনার একদম শেষ পর্যায়ে। আমাদের সাধ্যমত উপরোক্ত তথ্যবলী সংযোজন করার চেষ্টা করেছি। আসলে এই পোস্টটি লিখতে আমাকে প্রায় ০৫ দিন সময় ব্যয় করতে হয়েছে। তারপরেও এই পোস্ট অনুসরন করে কোন শিক্ষার্থী সামান্যতম উপকার পেলে আমার এই লেখার স্বার্থকতা খুঁজে পাবো। পরিশেষে পিয়নমামা ডটকম সাইটে ভিজিটর বন্ধুদেরকে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শেষ করছি। আগামী পর্বে অন্য অন্য কোন বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো। সবাই ভালো থাকুন, আল্লাহ হাফেজ। 

Share this post with friends

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment

Rules for commenting: Linking comments made without any reason for the purpose of getting backlinks will not be approved. However, linking comments for reasonable reasons will be approved after verification. Moreover we always follow zero spamming policy. So Be Careful..! to the policy of according at this blog.

comment url